প্রকাশিত: ১৯/০৪/২০১৮ ৭:১৩ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:০০ এএম

গিয়াস উদ্দিন,ভুলু,টেকনাফ::সীমান্ত জনপদ টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবার আগ্রাসন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না এই ভয়াবহ মাদক পাচার। কারন প্রতিনিয়ত বাড়ছে মাদক কারবারীর সংখ্যা।
উর্দ্দেশ্য অল্প সময়ে কোটি টাকার মালিক হওয়া।
এই এলাকার বেশীর ভাগ যুব সমাজ টাকার লোভে পড়ে মরন নেশা ইয়াবা পাচারে জড়িয়ে পড়ছে। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়,মাদক কারবারীদের পাশাপাশি বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদক সেবন কারীর সংখ্যা। এতে বর্তমান যুব সমাজ,ছাত্র সমাজ ইয়াবার করাল গ্রাসের শিকার হয়ে আজ ধ্বংস হওয়ার পথে! ইয়াবা পাচারে জড়িত হয়ে অনেক স্কুল পড়ুয়া যুবক কারাগারে রয়েছে।
টেকনাফের সু-শীল সমাজের ব্যাক্তিরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন,মাদকের ব্যবহার অতি দ্রুত নিয়ন্ত্রন করা না গেলে সামাজিক অবক্ষয় দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে বিভিন্ন প্রকার অপরাধ কর্মকান্ড।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যে ভাবে অলিতে গলিতে ইয়াবার আগ্রাসন ও মাদক কারবারী ও সেবন কারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অপকর্মের বিরুদ্ধে দলবত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ না করলে,আগামী প্রজন্মকে মাদকের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করা যাবে না।
এদিকে মাদক পাচার প্রতিরোধে আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা সীমান্ত এলাকা টেকনাফে বিভিন্ন এলাকায় রাত দিন অভিরাম অভিযান অব্যাহত রেখেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়,টেকনাফ বিজিবি,কোস্টগার্ড,পুলিশ,র‍্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যরা প্রতিনিয়ত উদ্ধার করছে লক্ষ লক্ষ ইয়াবাসহ পাচারকারী। তবে বেশীর ভাগ ইয়াবা উদ্ধারের সাথে কোন পাচারকারী আটক হয় না।
ইদানিং টেকনাফ উপজেলার আনাচে-কানাছে কক্সবাজার র‍্যাব ও টেকনাফ থানার পুলিশ সদস্যরা ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে অগ্রনী ভুমিকা পালন করছে। অভিযানের অংশ হিসাবে প্রতিনিয়ত উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছে বিপুল পরিমান ইয়াবা পাশাপাশি আটক করতে সক্ষম হয়েছে অনেক মাদক কারবারীকে।
সেই ধারাবাহিকতায় ১৮ এপ্রিল গভীর রাত থেকে পুলিশ ও র‍্যাব ৭ সদস্যদের পৃথক অভিযানে ১ লক্ষ,৪০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজন কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তথ্য সুত্রে জানা যায় টেকনাফ থানার আওতাদ্বীন সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির (ওসি) ওচমানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ১৮ এপ্রিল ভোর রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে অত্র ইউনিয়নের দক্ষিন পাড়া এলাকায় বেলাল নামে একজন মাদক কারবারীর বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে এক লক্ষ ইয়াবাসহ সাদ্দাম নামে এক মাদক পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন (ওসি) রনজিত বড়ুয়া, তিনি জানান সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে পুলিশ সদস্যদের এটি সর্ব বৃহৎ ইয়াবার চালান। আমাদের পুলিশ সদস্যরা মাদক পাচার প্রতিরোধে আরো সফলতা বয়ে আনবে যদি অত্র এলাকার জনগন পুলিশকে সহযোগীতা করে।
অপরদিকে কক্সবাজার র‍্যাব ৭ কম্পানী কমান্ডার মেজর রুহুল আমিনের নেতৃত্বে র‍্যাব সদস্যরা ১৮ এপ্রিল গভীর রাতে টেকনাফ বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ইসমাইল নামে এক ইয়াবা পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এই সময় ইয়াবা পাচারে ব্যবহার হওয়া একটি হিনো ট্রাক জব্দ করা হয়।
এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব ৭ এর’কোম্পানী কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন।
তিনি জানান ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে র‍্যাব সদস্যদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...